রিদমবক্স যখন বাংলা অনলাইন রেডিও

ইদানিং দেশে বাংলা অনলাইন রেডিও উৎপাত বেশ বেড়ে গিয়েছে। বেশিরভাগগুলোতেই গান প্রচার করা হয়। তবে অনলাইন রেডিও শোনার সমস্যা একটাই – রেডিওর সাইটে গিয়ে ওদের প্লেয়ারে গান শুনতে হয়। কেমন হয় যদি সবগুলো রেডিওকে একটা প্লেয়ারের মধ্যে বন্দী করে ফেলা যায়? সাধারন প্লেলিস্টের মত একেকটা রেডিও থাকবে আর খালি মাউসের একটা ক্লিকেই পাল্টে যাবে রেডিও স্টেশন! এই কাজটা খুব সহজেই করা যায় রিদমব্ক্সে। [অন্যান্য প্লেয়ারেও করা যায়, যেহেতু উবুন্টুর সাথে রিদমবক্স ডিফল্ট হিসেবে আসে সেজন্য এখানে এটাকেই ব্যবহার করা হল।]

ওয়েবসাইটের ঠিকানা আর রেডিও স্টেশনের ঠিকানাঃ

একটা অনলাইন রেডিওর ওয়েবসাইটের ইউআরএল আর স্টেশনের (বা ব্রডকাস্ট) ইউআরএল কিন্তু দুটো ভিন্ন জিনিস। রিদমবক্সে রেডিও স্টেশন সেভ করতে হলে স্টেশনের ইউআরএল দরকার। স্টেশনের ইউআরএল সাধারনত যে সাইটে প্লেয়ার দিয়ে গান চলতে থাকে সে সাইটেই পাওয়া যায়। আমি ফায়ারফক্সে অডিও ভিডিও চালানোর জন্য MPlayer প্লাগিন ব্যবহার করি। এই প্লাগিনের আরেকটা সুবিধা হল এই প্লাগিন দিয়ে চালু হওয়া যেকোন ওয়েব প্লেয়ারে মাউস পয়েন্টার রেখে রাইট ক্লিক করলে তার স্টেশনের ইউআরএল পাওয়া সম্ভব। নিচের ছবিটি দেখুনঃ















রেডিও টুডে’র প্লেয়ারে রাইট ক্লিক করে Copy URL দিয়ে যা পাওয়া যাবে সেটাই হল স্টেশনের এড্রেস। খেয়াল করলে দেখবেন রেডিও টুডে’র ওয়েব এড্রেস http://radiotodaybd.fm/ কিন্তু স্টেশনের এড্রেস http://122.248.11.50:8000। এই টিউটোরিয়ালে আমাদের সব সময় এই স্টেশন এড্রেসটাই দরকার হবে।

রিদমবক্সে রেডিও সেটাপঃ

এবার রিদমবক্স ওপেন করুন। নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন।

















১ নম্বর ধাপে রেডিও সিলেক্ট করুন। ২ নম্বর ধাপে নতুন রেডিও স্টেশন যোগ করতে আইকনটি ক্লিক করুন। এরপর ৩ নম্বরের মত পপ আপ বক্স ওপেন হবে। তাতে ব্রডকাস্ট এড্রেস বা স্টেশন ইউআরএলটি প্রবেশ করান (ছবিতে রেডিও গুগুনেরটা ব্যবহার করা হয়েছে)। এবার Add বটনে ক্লিক করুন।
এইবার যেই এড্রেসটা দিয়েছেন সেই এড্রেসটা লিস্ট থেকে খুঁজে বের করুন। খুঁজে বের করে তাতে রাইট বাটন ক্লিক করুন। তারপর Properties এ ক্লিক করুন। এবার নিচের ছবির মত টেক্সট ফিল্ডগুলোতে তথ্য দিয়ে দিন। তারপর Close চাপুন। এভাবে একের পর এক রেডিও আপনি যোগ করতে পারেন।













এইভাবে তথ্য দেবার কারন হল যাতে করে রেডিও স্টেশনগুলোকে আলাদা করা যায়। নাহলে সবগুলো ডিফল্টভাবে তাদের এড্রেসকেই নাম হিসেবে শো করবে

কিছু ইউআরএলঃ

আপনাদের সুবিধার জন্য কিছু ইউআরএল নিচে দিয়ে দিলাম। আর আপনারা যদি আরো ইউআরএল শেয়ার করতে চান তবে এইখানে সেটা দিতে পারেন। বলা যায় না, এতে করে হয়তোবা বাংলা অনলাইন রেডিওর একটা সংগ্রহশালা হয়ে যাবে এই পোস্টটা। তবে খেয়াল করে অবশ্যই স্টেশনের ইউআরএলটা দেবেন।

তাহলে উপভোগ করুন বাংলা রেডিও।

রেডিও গুনগুন
হাই ডেফিনিশন: http://69.39.233.135:8888/
৩২ বিট: http://69.39.233.135:8032/

আড্ডা রেডিও
http://67.212.189.122:8076

রেডিও আর্তনাদ
http://67.212.189.122:8070

রেডিও খোলাজানালা
http://115.127.14.58:8000

রেডিও আড্ডা
http://shared.streamwebtown.com/RadioAdda

অনলাইন গান
http://69.39.233.135:8400

রেডিও ইনফিনিটি
http://69.39.233.135:8444

রেডিও টুডে
ঢাকা স্টেশন: http://122.248.11.50:8000
চট্টগ্রাম স্টেশন: http://122.248.11.51:8000

রেডিও ঢাকা
http://202.4.100.2:8000

রেডিও লেমন
http://115.127.14.58:8000

রেডিও তুফান
http://67.228.101.162:7600

অনুভূতি রেডিও
http://75.126.219.187:8205

অনিয়ম রেডিও
http://teksea.homeip.net:8000/listen.pls

রেডিও বিজয়
http://115.124.98.144:8000

রেডিও ফুর্তিঃ
http://115.127.14.180:8000

উবুন্টুতে পিডিএফ এডিটর

উবুন্টু ব্যবহারকারীদের সফটওয়্যার সমস্যা কখনোই ছিল না আর থাকবেও না। উবুন্টুতে পিডিএফ ফাইল এডিট করার জন্য দারুন একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করছি। সফটওয়্যারটি হচ্ছে পিডিএফ এডিটর

কিভাবে ডাউনলোড করবেন?
টারমিনাল খুলুন আর লিখুন :

sudo apt-get install pdfedit

ব্যাস হয়ে গেল ইন্সটল।

সফটওয়্যারটি খুঁজে পাবেন : Aplications–Graphics–Pdf Editor

উবুন্টুতে সফটওয়্যার ইনস্টল (ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা ফাইল)

.deb ফরম্যাটের প্যাকেজ থেকে ইনস্টল করা
.rmp ফরম্যাটের প্যাকেজ থেকে ইনস্টল করা
সোর্স কোড থেকে সফটওয়্যার ইনস্টল করা
.bin ফরম্যাটের প্যাকেজ থেকে ইনস্টল করা





কম্পিউটারের সাথে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে খুব সহজে উবুন্টুতে সফটওয়্যার করা যায়। সেক্ষেত্রে উবুন্টু রিপোজিটরী থেকে সরাসরি ডাউনলোড হয়ে সফটওয়্যার গুলি ইনস্টল হয়। তবে এই রিপোজিটরি থেকে ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে সফটওয়্যার প্যাকেজসমূহ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াএমন বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে আলাদা ভাবে সফটওয়্যার প্যাকেজ ডাউনোলোড করে সফটওয়্যার ইনস্টল করা যাবে। তবে এভাবে ইনস্টল করা সফটওয়্যারগুলা সব সময় ভালো নাও হতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রে সফটওয়্যার গুলাতে সয়ংক্রিয় আপডেট অপশন থাকে না। ফলে নতুন সংস্করণ প্রকাশের পর নতুন করে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে ডাউনলোড করা প্যাকেজটির ডিপেন্ডেন্সি থাকে সেসব প্যাকেজসমূহ আগে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে রাখতে হয়।
ডাউনলোড করা প্যাকেজের ফাইল ফরম্যাট অনুযায়ী ইনস্টলের পদ্ধতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।

.deb ফরম্যাটের প্যাকেজ থেকে ইনস্টল করা

উবুন্টুর সকল সফটওয়্যার .deb ফরম্যাটের প্যাকেজ দিয়ে তৈরী। তাই অন্য ফরম্যাটের কোন প্যাকেজ ইনস্টল করতে চাইলে প্রথমে সেটি .deb ফরম্যাটে কনভার্ট করে নিতে হবে। এই ফরম্যাটের ফাইল গুলার উপর ডাবল ক্লিক করলে ইনস্টল হয়ে যাবে। কোন কোন ক্ষেত্রে ডিপেন্ডেন্ট ফাইল গুলা ইনস্টল করা না থাকলে সেটি ইনস্টল হবে না। সে ক্ষেত্রে ঐ ডিপেন্ডেন্ট ফাইল গুলা আগে ইনস্টল করতে হবে। ইন্টারনেট সংযোগ অন করা থাকলে ডিপেন্ডেন্ট ফাইলগুলা ডাউনলোড হয়ে ইনস্টল হয়ে যাবে।

.rmp ফরম্যাটের প্যাকেজ থেকে ইনস্টল করা

.rmp ফরম্যটের ফাইলগুলা ইনস্টল করতে হলে তেই ফাইলগুলা আগে .deb ফরম্যাটে কনভার্ট করে নিতে হবে। কনভার্ট করার জন্য Alien নামে একটি সফটওয়্যার ব্যাবহার করা হয়।

সোর্স কোড থেকে সফটওয়্যার ইনস্টল করা

উবুন্টুতে সফটওয়্যারের সোর্স কোড থেকেও সফটওয়্যার ইনস্টল করা যায়। সোর্সকোড গুলা সাধারনত .tar, .tar.gz এক্সটেনশন যুক্ত আর্কাইভ ফাইল হয়ে থাকে। ফাইলটির উপর মাউস পয়েন্টার রেখে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Extract here  নির্বাচন করুন। এক্সট্রাক্ট করা ফাইলে README নামের একটি ফাইল থাকে যেখানে ইনস্টল করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা থাকে। তবে সাধারন পদ্ধতিটি হল;

টারমিনাল (Applications >> Accessories >> Terminal) থেকে এক্সট্রাক্ট করা ফোল্ডারটি ওপেন করতে হবে। কমান্ডটি হবে

cd /FILE_PATH

উদাহারণ হিসাবে বলা যায় ফোল্ডারটি যদি ব্যবহারকারীর ডেক্সটপে থাকে তবে কামন্ড হবে

cd ~/Desktop/new_software

new_software এর পরিবর্তে নির্দিষ্ট ফোল্ডারের নাম লিখতে হবে।
কনফিগার করা জন্য লিখুন

./configure

এরপর

make

সবশেষে

sudo make install

এভাবে ইনস্টল করলে ঐ সফটওয়্যার গুলার ডিপেন্ডেন্সি গুলা ইনস্টল হবে না ।তাই আগে ঐ ডিপেন্ডেন্ট ফাইল গুলা ইনস্টল করতে হবে। ইন্টারনেট সংযোগ অন করা থাকলে ডিপেন্ডেন্ট ফাইলগুলা ডাউনলোড হয়ে ইনস্টল হয়ে যাবে।

.bin ফরম্যাটের প্যাকেজ থেকে ইনস্টল করা

ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করার সময় অনেক ক্ষেত্রেই .bin ফরম্যাটের ফাইল পাওয়া যায়। ফাইলটি যে ফোন্ডারে রয়েছে টারমিনাল (Applications >> Accessories >> Terminal) থাকে সেই ফোল্ডারে যেতে হবে । যদি ফাইলটির নাম হয় software.bin তবে টারমিনালে লিখতে হবে

./software.bin

এরপর টারমিনা উইন্ডোতে অথবা আলাদা উইন্ডোতে ইনস্টল সংক্রান্ত পরবর্তী দিকনির্দেশনা দেয়া থাকবে।

উবুন্টুতে সফটওয়্যার ডাউনলোড এবং ইনস্টল করা

Software Center (Add/ Remove) ব্যবহার করে
Synaptic Package Manager থেকে সফটওয়্যার ইনস্টল
Terminal থেকে সফটওয়্যার ইনস্টল
ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে সফটওয়্যার ইনস্টল করা





উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকরীরা .exe বা .msi এক্সটেনশন সহ ফাইল ইনস্টল করতে অভ্যস্ত। উইন্ডোজের উপযোগী কোন সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হলে সাধারণত সফটওয়্যারটির ডেভলপার সাইট থেকে ডাউনলোড করতে হয় । তবে উবুন্টু লিনাক্সে সফটওয়্যার ইনস্টল করার পদ্ধতিটি বেশ সহজ। উবুন্টুতে ইনস্টল করার উপযোগী প্রায় সকল সফটওয়্যারের সমন্বয়ে একটি সফটওয়্যার রিপোজিটরী তৈরী করা হয়েছে। সেখান থেকে পছন্দমত সপটওয়্যঅর ইনস্টল করা যাবে । যদিও সফটওয়্যার ইনস্টল করার এটিই একমাত্র পদ্ধতি নয়। টারমিনাল, ওয়েব ব্রাউজার ও প্যাকেজ ম্যানেজারের মাধ্যমেও উবুন্টুতে সফটওয়্যার ইনস্টল করা যায়। তবে উইন্ডোজ সফটওয়্যারের সাথে লিনাক্স সফটওয়্যারের একটি বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। সাধারণত লিনাক্সের বড় আকারের সফটওয়্যারগুলি  একাধিক প্যাকেজে বিভক্ত করা থাকে। মূল সফটওয়্যার প্যাকেজটি ইনস্টল করার পূর্বে অন্যান্য প্যাকেজগুলি ইনস্টল করা থাকতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় একাধিক সফটওয়্যার একটি প্যাকেজ ব্যবহার করে ।  তখন ঔ প্যাকেজটি আর পুনরায় ইনস্টল করতে হয় না।
উবুন্টুতে সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হলে কোন প্যাকেজ আগে ইনস্টল করতে হবে আর কোনটি পরে এটি আপনাকে জানতে হবে না । যেই পদ্ধতিতেই ইনস্টল করুননা কেন শুধু মাত্র সফটওয়্যারের নামটি নির্বাচন করে দিলেই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড হয়ে ইনস্টল হয়ে যাবে। তবে কোন সফটওয়্যার ইনস্টল করার পূর্বে প্যাকেজ লিস্টটি আপডেট করে নেয়া উচিত। টারমিনাল থেকে লিস্ট আপডেট করতে টারমিনালে নিচের কমান্ডটি লিখুন

sudo apt-get update

এছাড়া সিন্যাপটিক প্যাকেজ ম্যানেজার থেকেও প্যাকেজ লিস্ট আপডেট করা যাবে।

Software Center (Add/ Remove) ব্যবহার করে

উবুন্টুতে সফটওয়্যর ইনস্টল করার যতগুলি পদ্ধতি রয়েছে এটি সব থেকে সহজ। এখানে সফটওয়্যারের বিশাল একটি তালিকা রয়েছে । সেই সাথে নতুন ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে সফটওয়্যারের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যটেগরীতে ভাগ করা হয়েছে। উবুন্টু সফটওয়্যার সেন্টার ওপেন করতে Applications >> Ubuntu Software Center সিলেক্ট করতে হবে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী সফটওয়্যারের তালিকা থেকে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটি ইনস্টল করা যাবে । এছাড়া নির্দিষ্ট সফটওয়্যার খুজে বের করার জন্য সার্চ অপশন পাওয়া যাবে এখানে।

Synaptic Package Manager থেকে সফটওয়্যার ইনস্টল

System >> Administration >> Synaptic Package Manager ওপেন করে সেখান থেকেও সফটওয়্যার ইনস্টল করা যাবে। তবে এটি ওপেন করার সময় অ্যাডমিনিসট্রেটর পাসওয়ার্ড দিয়ে ওপেন করতে হয়। এখানে সফটওয়্যারের নামের পরিবর্তে সফটওয়্যার প্যাকেজ সমূহের নাম লেখা থাকে। তবে Quick search বক্সে সফটওয়্যারের নাম লিখে নির্দিষ্ট সফটওয়্যার খুজে পাওয়া যাবে। নির্দিষ্ট প্যাকেজে উপর মাউসের ডান বাটন চাপলে একটি মেনু দেখা যাবে সেখান থেকে Mark for installation সিলেক্ট করে Apply চাপতে হবে। সেই প্যাকেজটি ইনস্টল করতে যদি অন্য কোন প্যাকেজ প্রয়োজন হয় তবে সেটিও সাথে সাথে ইনস্টল হয়ে যাবে।

Terminal থেকে সফটওয়্যার ইনস্টল

উবুন্টু টারমিনাল থেকেও সফটওয়্যার ইনস্টল করা যায়। এজন্য Applications >> Accessories >> Terminal থেকে টারমিনাল ওপেন করতে হবে। এবার নিচের ফরম্যাট অনুযায়ী সফটওয়্যারের নাম লিখতে হবে।

sudo apt-get install SOFTWARE_NAME

এখানে software_name এর পরিবর্তে নির্দিষ্ট সফটওয়্যারটির নাম লিখতে হবে। যেমন পিজিন ইনস্টল করতে চাইলে লিখতে হবে;

sudo apt-get install pidgin

টারমিনাল থেকে কোন সফটওয়্যার ইনস্টল করার সময় পাসওয়ার্ড লিখতে হবে। তবে টারমিনালে পাসওয়ার্ড লেখার সময় সেটি দেখতে পাওয়া যাবে না। কেবল মাত্র সঠিক পাসওয়ার্ড লেখা হলেই পরবর্তী কাজটি সম্পাদিত হবে।

ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে সফটওয়্যার ইনস্টল করা

সফটওয়্যার সেন্টার, সিন্যাপটিল বা টারমিলান ছাড়াও শুধুমাত্র ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করেই সফটওয়্যার ইনস্টল করা যায়। যেমন ওয়েব ব্রাউজারে ওয়েবসাইটের ঠিকানা লেখার জায়গায় যদি apt:vlc লেখা হয় তবে VLC Media Player ইনস্টল করার অপশন দেখানো হয়। apturl নামের এটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে এই কাজটি করা হয়। উবুন্টু ৭.০৪ এর পরবর্তী সকল সংস্করণে এই পদ্ধতিতে সফটওয়্যার ইনস্টল করা যায়। তবে ইনস্টল করতে হলে নির্দিষ্ট সফটওয়্য়ার নামটি সঠিভাবে জানতে হবে।

উবুন্টুতে বাংলা লেখার বিভিন্ন পদ্ধতি

উবুন্টুতে বাংলা লেখার কীবোর্ড লেআউট ইনস্টলের সময়ই দেয়া থাকে। সাধারণ পদ্ধতিতে লেআট যুক্ত করা ছাড়াও সম্প্রতি IBus নামে কীবোর্ড লেআউট যুক্ত করার নতুন একটি পদ্ধতি যুক্ত করা হয়েছে। বাংলা কীবোর্ড লেআউট যুক্ত করার পদ্ধতি এবং লেআউট পরিবর্তন করার জন্য সর্টকাট কী চালু করার পদ্ধতি নিচে দেখানো হল।

সাধারণ পদ্ধতি

লেআউট পরিবর্তনের সর্টকাট তৈরী

IBus ইনপুট পদ্ধতি ব্যবহার

সাধারণ পদ্ধতি

উবুন্টুতে বাংলায় লিখতে চাইলে প্রথমে বাংলা কী-বোর্ড অ্যাড করে নিতে হবে।প্যানেল থেকে System >> Preferences >> Keyboard এ ক্লিক করুন। যে Keyboard Preferences উইন্ডো আসবে তার Layouts ট্যাব-এ ক্লিক করলে নিচের উইন্ডোটি দেখা যাবে।

Add বাটনে ক্লিক করলে যে উইন্ডোটা দেখা যাবে সেখান থেকে Country হিসাবে Bangladesh সিলেক্ট করলে Variants এ Bangladesh লেখা দেখাবে, অর্থাৎ তখন বাংলাদেশের জাতীয় কীবোর্ড লেয়াউট সিলেক্ট হবে।এখানে Probhat নামে আরও একটি কী-বোর্ড লেয়াউট আছে যার মাধ্যমে ও বাংলা লেখা যাবে। By Language ট্যাবটি ব্যবহার করেও বাংলা ভাষার জন্য কীবোর্ড লেআউট নির্ধারণ করা যাবে।

লেআউট পরিবর্তনের সর্টকাট তৈরী

লেখার সময় কী-বোর্ড পরিবর্তন করার জন্য সর্টকাট কী ব্যাবহার করতে পারেন। Layouts Option থেকে Key(s) to change layout এ ক্লিক করলে অনেকগুলা সর্টকাট কী দেখা যাবে, এখান থেকে যে কোনটাতে মার্ক করে দিলে পরবর্তীতে সেই কী ব্যবহার করে লেআউট পরিবর্তন করা যাবে।

কাজের সুবিধার জন্য প্যানেলে কী-বোর্ড ইন্ডিকেটর যোগ করে নিতে পারেন।প্যানেলের খালি যায়গায় মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Add to Panel… ওপেন করুন।

এখানে খুজলে Keyboard Indicator পাবেন, Add করুন। এবার প্যানেলে USA লেখা দেখতে পাবেন, এর অর্থ এখন ইংরেজি কী-বোর্ড চালু কয়েছে। যখন Ban থাকবে তখন বাংলা লেখা যাবে। আইকনটার উপর ক্লিক করে বা সর্টকাট কর ব্যাবহার করে কী-বোর্ড লেয়াউট পরিবর্তন কারা যাবে।যখন যে কী-বোর্ড চালু থাকবে তখন সেটা দেখা যাবে।

System >> administration >> Language Support ওপেন করে বাংলা সিলেক্ট করলে কিছু প্যাকেজ ডাউনলোড হবে তখন বাংলা লেখা গুলা আরও ভালোভালে দেখা যাবে।

IBus ইনপুট পদ্ধতি ব্যবহার

উবুন্টু ৯.১০ সংস্করণ থেকে লেখালেখির ডিফল্ট ইনপুট পদ্ধতির সাথে Ibus নামে নতুন একটি ইনপুট পদ্ধতি যুক্ত করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে ইউনিজয় বাংলা কীবোর্ড লেআউট ব্যবহার করে বাংলা লেখা যায়। ৯.১০ এর আগের সংস্করণগুলিতে ইউনিজয় লেআউটে বাংলা লেখার জন্য Scim নামের একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হত।  এই সংস্করণ থেকে বাংলা লেখার জন্য এই লেআউটটি শুধুমাত্র চালু করে নিতে হয়। ইউনিজয় লেআউটের সুবিধা হল এটি প্রায় “বিজয়” লেআউটের মত। ফলে বিজয় কীবোর্ড ব্যবহারে অভ্যস্তরা এটি ব্যবহার করতে পারেন।
পদ্ধতিটি হল :
১. System >> Preferences >> IBus Preferences নির্বাচন করতে হবে।
২. IBus Preferences চালু হওয়ার সময় উপরের প্যানেলে নতুন একটি কীবোর্ডের আইকন দেখা যাবে । যতক্ষন IBus চালু থাকবে ততক্ষন এটি দেখা যাবে।
৩. নতুন খোলা উইন্ডো থেকে Input Method ট্যাবে (দ্বিতীয় ট্যাব) যেতে হবে ।
৪. ইউনিজয় লেআউট নির্বাচন করার জন্য Select an input method লেখা ড্রপ ডাউন মেনু থেকে Bengali >> unijoy নির্বাচন করতে হবে।
৫. এবার Add বাটনটি চাপলে লেআউটটি যুক্ত হয়ে যাবে। তালিকা থেকে কোন লেআউট বাদ দিতে চাইলে Remove নির্বাচন করতে হবে।

৬. উপরের কীবোর্ডের আইকনটিতে মাউসের ডান বাটন চাপলে একটি মেনু দেখা যাবে সেখান থেকে Restart নির্বাচন করতে হবে।
৭. এরপর ইউনিজয় লেআউট ব্যবহার করে কোথাও বাংলা লেখার জন্য কীবোর্ড থেকে Ctrl + Space বাটন একসাথে চাপতে হবে।

প্রভাত কী-বোর্ড লে-আউট

উবুন্টু ১০.১০: ম্যাভেরিক মির্ক্যাট (Maverick Meerkat) রিলিজ পেল আলফা ১

উবুন্টু ১০.০৪ এর নিয়ে সবাই যখন মুগ্ধ, অনেক নতুন ব্যবহারকরী বেড়েছে উবুন্টু এই নতুন রিলিজে। পুরাতন ব্যবহারকারীরা ও অনেক আনন্দের সাথে নিয়েছে উবুন্টুর নতুন ভার্সন উবুন্টু ১০.০৪ ( ল্যুসিড লিংক্স ) কে।

উবুন্টুর ১০.১০ এর নামকরন করা হয়েছে ম্যাভেরিক মির্ক্যাট (Maverick Meerkat) যার রিলাজ সিডিউল ছিল এমন :
আলফা ১: জুন ৩
আলফা ২: জুলাই ১
আলফা ৩: অগাস্ট ৫
আলফা ৪: সেপ্টেম্বর ২
বেটা: সেপ্টেম্বর ২৩
রিলিজ ক্যান্ডিডেট: অক্টোবর ২১
উবুন্টু ১০.১০: অক্টোবর ২৮

৩ জুনের আগেই রিজিল হলো আলফা ১ । ডাউনলোড করুন এখান থেকে। দেখুন নতুন কি নিয়ে এলো ম্যাভেরিক মির্ক্যাট তার হাজার হাজার ব্যবহারকরীদের জন্য।

উবুন্টুতে জিপিআরএস/এজ/জুম মডেম অথবা মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার

জিপিআরএস বা এজ মডেমের মাধ্যমে উবুন্টুতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। এমন কি সিটিসেল জুম মডেম ব্যবহার করারও সুযোগ রয়েছে উবুন্টুতে। এধরনের মডেম বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করার বিভিন্ন পদ্ধতি দেখানো হল:

  • জিপিআরএস বা এজ মডেম দিয়ে ইন্টারনেট ব্যাবহার (গ্রাফিকাল মোড)
  • জিপিআরএস বা এজ মডেম দিয়ে ইন্টারনেট ব্যাবহার (টারমিনাল থেকে)
  • সিটিসেল জুম মডেম দিয়ে ইন্টারনেট ব্যাবহার
  • ব্লু-টুথ-এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার


জিপিআরএস বা এজ মডেম দিয়ে ইন্টারনেট ব্যাবহার (গ্রাফিকাল মোড)

গ্রামীনফোন, একটেল, বাংলালিংক, ওয়ারিদ এর কানেকশন ব্যবহার করে জিপিআরএস/ এজ মডেম বা মোবাইল এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাইলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। সিটিসেল বা টেলিটক কানেকশন ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাইলে নিচের অংশে দেখতে হবে।

System >> Preferences >> Network Connections ওপেন করতে হবে। তৃতীয় ট্যাব Mobile Broadband এ Add বাটনটি চাপতে হবে। মডেমটি যদি আগে থেকেই কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করা তবে সয়ংক্রিয়ভাবে চিহ্নিত হবে।

পরবর্তী ধাপে তালিকা থেকে Bangladesh নির্বাচন করতে হবে এরপর গ্রামীনফোন, একটেল, বাংলালিংক, ওয়ারিদ কানেকশন নির্বাচন করতে হবে।

যদি সিটিসেল বা টেলিটল কানেকশন হয় তবে “I can’t find the provider and wish to enter manually” অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। প্রভাইডারের নাম লিখে ড্রপ ডাউন মেনু থেকে কানেকশনের ধরন নির্বাচন করতে হবে।

জিপিআরএস বা এজ মডেম দিয়ে ইন্টারনেট ব্যাবহার (টারমিনাল থেকে)

wvdial নামে একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে উবুন্টুতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। তবে উবুন্টু ১০.০৪ এ ডিফল্টভাবে এই সফটওয়্যারটি দেয়া থাকে না। ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে এমন অন্য কোন কম্পিউটার থেকে এই সফটওয়্যারটি ইনস্টল করার উপযোগী প্যাকেজ সমূহ ডাউনলোড করে উবুন্টুতে ইনস্টল করতে হবে।
মূল প্যাকেজটির নাম wvdial, http://packages.ubuntu.com/lucid/wvdial ওয়েবসাইট থেকে এটি ডাউনলোড করা যাবে । সেই সাথে এটি ইনস্টল করার সময় অন্য কোন কোন প্যাকেজ প্রয়োজন হতে পারে সেটিও এই ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে। তবে দ্রুত ডাউনলোড করার সুবিধার্থে নিচে সবগুলি প্যাকেজ এবং ডাউনলোড লিংক দেয়া হয়েছে। ডাউনলোড করার পর প্যাকেজসমূহ ইনস্টল করতে হবে।

প্যাকেজ ডাউনলোডের তালিকা

wvdial http://packages.ubuntu.com/lucid/i386/wvdial/download
ppp(>=2.3.0) http://packages.ubuntu.com/lucid/i386/ppp/download
debconf (>=0.5.00)|cdebconf http://packages.ubuntu.com/lucid/i386/cdebconf/download
libc6(>=2.4) http://packages.ubuntu.com/lucid/i386/libc6/download
libuniconf4.6 http://packages.ubuntu.com/lucid/i386/libuniconf4.6/download
libwvstreams4.6-base http://packages.ubuntu.com/lucid/i386/libwvstreams4.6-base/download
libwvstreams4.6-extras http://packages.ubuntu.com/lucid/i386/libwvstreams4.6-extras/download
debconf (>=0.5)|debconf-2.0 http://packages.ubuntu.com/lucid/all/debconf/download

সবপ্যাকেজ ইনস্টল করা হলে মোবাইল ফোন বা জিপিআরএস/ এজ মডেমটি কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করে টারমিনালে নিচের মত কমান্ড দিতে হবে।

sudo wvdialconf /etc/wvdial.conf

তাহলে /etc wvdial.conf নামে একটি ফাইল তৈরী হবে।

Alt +F2 চাপুন, Run Application উইন্ডো ওপেন হলে লিখুন gksu gedit Gedit Text Editor ওপেন হবে।

এবার File থেকে Open সিলেক্ট করুন এবং File System >> etc ( /etc ) থেকে wvdial.conf ফাইলটি ওপেন করুন। ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড এর পাশে যে কোন নাম দেয়া যাবে। ফোন নাম্বার হবে *99***1# যদি গ্রামীনফোন এর জিপিআরএস/ এজ ব্যাবহার করে থাকেন তবে Init2 লাইনের পর নিচের লাইনটি যোগ করতে হবে।

Init3= AT+CGDCONT=1, “IP”, “gpinternet”

ইন্টারনেট কানেকশনটি চালু করার জন্য টারমিনাল ওপেন করে লেখতে হবে

sudo wvdial

একটি নমুনা wvdial.conf ফাইল নিচে দেখানো হল

[Dialer Defaults]

Modem =/dev/ttyUSB0
Baud= 115200
Init1= ATZ
Init2= ATQ0 V1 E1 S0=0 &C1 &d2 +FCLASS=0
Init3= AT+CGDCONT=1, “IP”, “gpinternet”
Area Code=
Phone= *99***1#
Username= abc
Password= abc
Ask Password= 0
Dial Command= ATDT
Stupid Mode= 1
Compuserve= 0
Fource Address=
Idle Seconds= 300
Dial Messange1=
Dial Messange2=
ISDN=0
Auto DNS=1


সিটিসেল মডেম ব্যবহার করা

wvdial নামের অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করে উবুন্টুতে সিটিসেল মডেম ব্যবহার করা যায়। উবুন্টু ৯.০৪ এবং এর পরবর্তী সংস্করণগুলিতে এটি ইনস্টল করা থাকে না। তবে অ্যাপলিকেশনটির প্যাকেজগুলি আলাদাভাবে ইনস্টল করে এটি ব্যবহার করা যাবে। ইনস্টল করতে হবে এমন প্যাকেজসমূহের নামের তালিকা নিচে দেয়া হল। packages.ubuntu.com ওয়েব সাইট থেকে এই প্যাকেজগুলি ডাউনলোড করা যাবে। সরাসরি ডাউনলোড করার জন্য উপরের প্যাকেজ ডাউনলোডের তালিকা দেখুন।

এছাড়া বিকল্প পদ্ধতিতেও মানে গ্রাফিকাল মোডও উবুন্টুতে সিটিসেল মডেম ব্যবহার করা যাবে।

wvdial
debconf

libc6
libuniconf4.4
libwvstreams4.4-base
libwvstreams4.4-extras
libxplc0.3.13-dev
ppp

ডাউনলোড করার পর ফাইলগুলিতে ডাবল ক্লিক করে ইনস্টল করা যাবে। পরপর ইনস্টল করার সময় কখনো কখনো অন্য প্যাকেজটি আগে ইনস্টল করতে বলতে পারে । সবগুলি ফাইল ইনস্টল করার পর  সিটিসেল মডেমটি কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করতে হবে।  এবার টারমিনাল(Application >> Accessories >> Terminal) ওপেন করে নিচের কমান্ডটি ব্যবহার করতে হবে।

sudo wvdialconf /etc/wvdial.conf

sudo gedit /etc/wvdial.conf

দ্বিতীয় কমান্ডটি ব্যবহার করা পর একটি ফাইল ওপেন হবে । সেখানে আগে থেকে কিছু লেখা থাকলে মুছে দিয়ে নিচের অংশটুকু পেস্ট করুন।

[Dialer Defaults]
Init1 = ATZ
Init2 = ATQ0 V1 E1 S0=0 &C1 &D2 +FCLASS=0
Stupid Mode = 1
Modem Type = USB Modem
ISDN = 0
Phone = #777
New PPPD = yes
Modem = /dev/ttyUSB0
Username = waps
Password = waps
Baud = 460800

এরপর ফাইলটি বন্ধ করে টারমিনালে এই কমান্ডটি ব্যবহার করুন ।

wvdial

ব্লু-টুথ-এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার

ব্লু টুথ এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাইলে নিচের পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন । আমি এই পদ্ধতিতে ইন্টারনেটে যুক্ত হতে পেরেছি আশা করি আপনাদের ক্ষেত্রেও এটি কাজ করবে।

প্রথমে কম্পিউটারে ব্লু-টুথ ডিভাইসটি যুক্ত করতে হবে, তাহলে উপরের প্যানেলে নীল রং এর একটি চিহ্ন দেখা যাবে। এবার মোবাইলের ব্লুটুথ অন করে ডিভাইস সার্চ করতে হবে । সহজেই পাবার কথা; ডিভাইসটি পেয়ার করার জন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে।

টারমিনাল ওপেন করুন

Applications >> Accessories >> Terminal

এবার পরপর নিচের ধাপ গুলি অনুসরন করতে হবে। বোঝার সুবিধার জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমি আমার নিজের ডিভাইসটির জন্য টারমিনালে যেমন লেখা এসেছে সেটি দিয়েছি; আপনাদের ক্ষেত্রে এটি ভিন্ন হতে পারে।
১. প্রথমে ব্লুটুথ ডিভাইসটির ম্যাক এড্রেস করুন। এজন্য নিচের কমান্ডটি ব্যবহার করতে হবে

hcitool scan


তাহলে টারমিনালে নিচের মত লিখা দেখা যাবে।
saikat@saikat-desktop:~$ hcitool scan
Scanning …
00:24:04:05:3F:C9 Nokia 3110c

২. ম্যাক পাওয়া গেল। এবার ব্লুটুথ ডিভাইসটির কোন চ্যানেলে সার্ভিসটি পাওয়া যাবে সেটি জানার জন্য নিচের কোডটি টারমিনালে লিখতে হবে


sdptool search DUN

saikat@saikat-desktop:~$ sdptool search DUN
Inquiring …
Searching for DUN on 00:24:04:05:3F:C9 …
Service Name: Dial-up networking
Service RecHandle: 0×10028
Service Class ID List:
“Dialup Networking” (0×1103)
“Generic Networking” (0×1201)
Protocol Descriptor List:
“L2CAP” (0×0100)
“RFCOMM” (0×0003)
Channel: 1
Language Base Attr List:
code_ISO639: 0x656e
encoding: 0x6a
base_offset: 0×100
Profile Descriptor List:
“Dialup Networking” (0×1103)
Version: 0×0100

আপনার ডিভাইসটির জন্য যখন এমন কিছু লাইন দেখা যাবে ; সেখান থেকে এই লাইনগুলি খুজে বের করুন:
Service Name: Dial-up networking
“RFCOMM” (0×0003)
Channel: 1 দেখুন কাঙ্খিত সার্ভিসটি ১ নম্বর চ্যানেলে আছে।

এবার টারমিনালে এবার নিচের কমান্ডটি লিখুন

sudo gedit /etc/bluetooth/rfcomm.conf

একটি ফাইল ওপেন হবে যেখানে নিচের অংশ লিখে সেভ করুন:

rfcomm0 {
bind yes;
device your-phone-mac-address;
channel your-phone-rfcomm-channel;
comment “Bluetooth PPP Connection”;
}

your-phone-mac-address এবং your-phone-rfcomm-channel এর স্থানে প্রথম কমান্ডটি ব্যবহার করে যে ম্যাক অ্যাড্রেস পাওয়া যাবে সেটি লিখতে হবে । যেমন আমারটির জন্য হবে;

rfcomm0 {
bind yes;
device 00:24:04:05:3F:C9;
channel 1;
comment “Bluetooth PPP Connection”;
}

এবার নিচের দুটি কমান্ড থেকে যেকোন একটি ব্যবহার করুন:
sudo /etc/init.d/bluez-utils restart
অথবা
sudo /etc/init.d/bluetooth restart

নিচের কমান্ডটি লিখে Enter চাপলে একটি ফাইল ওপেন হবে যেখানে নিচের লিখা গুলি লিখে সেভ করতে হবে।

sudo gedit /etc/ppp/peers/BluetoothDialup
ফাইলের মধ্যে নিচের অংশটুকু লিখুন

debug
noauth
connect “/usr/sbin/chat -v -f /etc/chatscripts/BluetoothDialup”
usepeerdns
/dev/rfcomm0 115200
defaultroute
crtscts
lcp-echo-failure 0

আগের বারের মত আবার নিচের কমান্ডটি লিখুন ও ওপেন হওয়া ফাইলটিতে নিচের অংশটুকু লিখুন
sudo gedit /etc/chatscripts/BluetoothDialup

TIMEOUT 35
ECHO ON
ABORT ‘\nBUSY\r’
ABORT ‘\nERROR\r’
ABORT ‘\nNO ANSWER\r’
ABORT ‘\nNO CARRIER\r’
ABORT ‘\nNO DIALTONE\r’
ABORT ‘\nRINGING\r\n\r\nRINGING\r’
” \rAT
OK ‘AT+CGDCONT=1,”IP”,”gpinternet”‘
OK ATD*99***1#
CONNECT “”

সেভ করুন।

গ্রামীন ফোন কানেকশন ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে নিচের লাইনটি অতিরিক্ত দিতে হবে । একটেল বা বাংলালিংক ব্যবহারকারীদের এটি লিখতে হবে না ।

OK ‘AT+CGDCONT=1,”IP”,”gpinternet”‘
কনফিগার করা শেষ । এবার কানেক্ট করতে নিচের কমান্ডটি লিখুন।

sudo pon BluetoothDialup

ইন্টারনেটে সংযুক্ত হবার বার্তা মোবাইলে দেখা যাবে।

উবুন্টুতে ব্রডব্যান্ড সংযোগ স্থাপন (Auto, Static এবং PPPOE)

উবুন্টু ইনস্টলের পরপরই ইন্টারনেট সংযোগ চালু করে নেয়া উচিত। বিভিন্ন সফটওয়্যার ইনস্টল বা কনফিগার করার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হতে পারে। নিচে বিভিন্ন ধরনের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হল।

যে ধরনের কানেকশন নিয়ে ব্যবহার দেখানো হবে:

  • অটো ইথারনেট (Auto Ethernet)ব্রডব্যান্ড সংযোগ
  • স্ট্যাটিক আইপি (Ststic IP)
  • DSL বা PPPOE কানেকশন ব্যবহার করা
  • DSL বা PPPOE কানেকশন কনফিগার (টারমিনাল থেকে)

ব্রডব্যান্ড সংযোগ স্থাপন (Auto Ethernet)

অনেকক্ষেত্রেই ব্রডব্যান্ড সংযোগ চালু করতে বিশেষ কোন ধরনের কনফিগার করতে হয়। সাধারণত হার্ডওয়্যারের ম্যাক অ্যাড্রেস পরীক্ষা করে এই ধরনের কানেকশন দিয়ে থাকে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ। উবুন্টুতে এই ধরনের কানেকশন সাধারণত সয়ংক্রিয়ভাবেই চালু হয়ে যায়। তবে কোন কারনে যদি চালু না হয় তবে উপরের প্যানেলের নেটওয়ার্ক কানেকশন আইকনটিতে ক্লিক করে মেনু থেকে Auto eth0 নির্বাচন করুন। প্রয়োজনে কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন।

ব্রডব্যান্ড সংযোগ স্থাপন (Static)

কোন কোন আইএসপি কোম্পানি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন দেয়ার সময় IP address, Subnet, Default Getway, DNS ইত্যাদি ম্যানুয়ালী নির্দিষ্ট করে দেয়। প্রথমবার ইন্টারনেট কানেকশন কনফিগার করার সময় এগুলি নির্দিষ্ট করে দিতে হয়। তাই কনফিগার করার আগেই আপনার ইন্টারনেট কানেকশনের বিবরনীগুলি হাতের কাছে রাখুন।  Network Connections অপশন থেকে এই ধরনের কানেকশন কনফিগার করা যাবে। একাজটি করার জন্য প্রথমে উবুন্টু ডেক্সটপের উপরের প্যানেল থেকে System >> Preferences >> Network Connections নির্বাচন করতে হবে। এবার

  • Network Connections উইন্ডোর Wired ট্যাব থেকে Add বাটন চাপতে হবে।
  • এডিট উইন্ডোর তৃতীয় ট্যাব IPv4 Setting থেকে Method হিসাবে Manual নির্বাচন করতে হবে।
  • এবার Add বাটন চেপে Address (IP Address), Netmask (Subnetmask), Getway (Default Getway) , DNS সার্ভারের ঠিকানা লিখতে হবে।
  • একাধিক DNS ঠিকানা ব্যবহার করতে হলে কমা ব্যবহার করে পরপর লিখতে হবে । যেমন 123.21.12.1,132.12.21.5 ।
  • সঠিকভাবে ঠিকানাগুলি লিখে Apply বাটনটি চাপতে হবে।

ব্রডব্যান্ড সংযোগ স্থাপন (DSL বা PPPoE) পদ্ধতি-১

আপনার ইন্টরনেট কানেকশন যদি PPPoE অর্থাৎ Point-to-Point Protocol over Ethernet হয় তাহলে নিচের পদ্ধতি অনুসরন করে আপনি আপনার ইন্টারনেট কানেকশন সচল করতে পারেন।

সংযোগটি PPPoE কিনা তা বোঝার একটি উপায় হল আপনার ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটি আপনাকে কোন IP address, subnet mask, Getway address ইত্যাদি দিবে না ; শুধুমাত্র User Name এবং Password দিবে যার মাধ্যমে প্রতিবার কম্পিউটার চালু করে আপনাকে ইন্টারনেট সংযোগটি সচল করতে হবে। তাছাড়া আপনার ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও আপনি সংযোগটির ধরন জেনে নিতে পারেন।

System >> Preferences >> Network Connections নির্বাচন করলে Network Connections শিরনামের নতুন একটি উইন্ডো চালু হলে সেখান থেকে ৫ম বা সবথেকে শেষের ট্যাব হল DLS ওপেন করতে হবে। নতুন সংযোগ স্থাপনের জন্য Add বাটনটি চাপতে হবে। এবার Username এবং Password এর স্থানে সঠিক পাসওয়ার্ড লিখতে হবে। Service এর স্থানে কিছু না লিখলেও চলবে। MAC address লিখার প্রয়োজন হলে Wired ট্যাব-এ লিখার অপশন পাওয়া যাবে।

ব্রডব্যান্ড সংযোগ স্থাপন (DSL বা PPPoE) পদ্ধতি-২

প্রথমে Applications >> Accessories >> Terminal থেকে Terminal ওপেন করুন এবং sudo pppoeconf লিখে Enter কী চাপুন।এবার আপনার root password লিখতে হবে। আপনার password লেখার সময় আপনি কোনো অক্ষর দেখতে পাবেন না। কিন্তু শুধুমাত্র সঠিক password লেখতে পারলেই পরের ধাপে যাওয়া যাব।

সঠিকভাবে root password লেখা শেষ হলে আপনাকে আপনার ইথারনেট সংযোগ গুলার নাম দেখানো হবে এবং জানতে চাওয়া হবে আপনার আর কোন সংযোগ আছে কিনা। ঐ তালিকার বাইরে আপনার যদি আর কোনো সংযোগ না থাকে তবে আপনি Enter কী চাপবেন।

এরপর সংযোগ গুলা চেক করা হবে এবং সচল সংযোগটি চিহ্নিত করা হবে। এরপর POPULAR OPTIONS নামে একটি ডায়লগ বক্স আসবে তখন আপনি Enter কী চাপবেন।

এরপর আপনার ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড জানতে চাওয়া হবে। আপনার ইন্টরনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটি দেয়া ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড এখানে লিখতে হবে।

এরপর আরও দুটি ডায়লগ বক্স আসবে USE PEER DNS ও LIMITED MSS PROBLEM আপনি তখন Enter কী চাপলে আরও একটি বক্স আসবে যেখানে লেখা থাকবে যে আপনার ইন্টারনেট কানেকশনটি সচল হয়েছে।

তারপর ইন্টরনেট কানেকশনটি তখনই চালু করা হবে কিনা তা জিজ্ঞাসা করা হবে।এবং ইন্টরনেট কানেকশনটি কম্পউটার অন করার সময়ই চালু করা হবে কিনা তাও জিজ্ঞাসা করা হবে।

এভাবে আপনার কানেকশনটি সচল হয়ে যাবে।

ইন্টরনেট কানেকশনটির বিস্তারিত জানতে টারমিনাল ওপেন করে লিখুন plog বা ifconfig ppp0

উবুন্টু ডেক্সটপ

ডেক্সটপ, স্ক্রীনের সব কিছুর পেছনে থাকে।কোন উইন্ডো ওপেন করা না হলে উপরের এবং নিচের প্যানেলের মাঝের অংশকে ডেক্সটপ বলা যেতে পারে। এখানে কোন ফাইল, ফোল্ডার, সফটওয়্যার সর্টকাট কপি করে রাখা যায়। ডেক্সটপে কপি করে রাখা হলেও এই ফাইল বা ফোল্ডার গুলা Home ফোল্ডারের ভেতর Desktop নামে সাবফোল্ডারে থাকে।

প্যানেল পরিচিতি

সাধারনভাবে উবুন্টু ডেক্সটপে উপরে ও নিচে দুটি প্যানেল থাকে। তবে এরকম সেটিং ব্যাবহার বাধ্যতামূলক না। দরকার ও প্রয়োজন অনুযায়ী প্যানেলে সংযোজন বা পরিমার্জন করা যায়। তবে এখানে ডিফল্ট প্যানেল সেটিং এর উপর আলোচনা করা হবে।

উপরের প্যানেল

উপরের প্যানেলের বাম দিকে Applications, Places, System নামে তিনটি মেনু এবং Firefox(ওয়েব ব্রউজার), Help নামে দুটি সফটওয়্যারের সর্টকাট রয়েছে। Applications মেনুতে কম্পিউটারে ইনস্টল করা সব সফটওয়্যার ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভাগ করা থাকে। Places মেনুতে কম্পিউটারের সকল ড্রাইভ গুলা এবং হোম ফোল্ডারে যাওয়ার অপশন থাকে।System নামে যে মেনু রয়েছে সেখানে Preferences ও Administration দুটি সাব মেনু রয়েছে। কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন করার কাজসমূহ করতে হবে এই মেনু থেকে। এখানে Help and Support নামে যে অপশন রয়েছে সেখানে উবুন্টু সংক্রান্ত সাহায্য পাওয়া যাবে।

প্যানেলটির ডান দিকে রয়েছে নোটিফিকেশন আইকন, ভলিয়্যুম কন্ট্রলার, ক্যালেন্ডার, ঘড়ি। এরপর থাকে কম্পিউটার বন্ধ, রিস্টার্ট, ব্যাবহারকারী পরিবর্তন করার জন্য একটি আইকন।


নিচের  প্যানেল




বর্তমানে যে অ্যাপলিকেশন সমূহ চালু করা আছে সেগুলির নিচের প্যানেলে দেখা যায়। প্যানেলের বাম পাশে Show Desktop নামের বাটনটি ব্যবহার করে সকল উইন্ডো একসাথে মিনিমাইজ বা ম্যাক্সিমাইজ করা যাবে। ডানের অংশে ওয়ার্কস্পেস পরিবর্তন করার অপশন এবং ট্র্যাশ থাকে।


উবুন্টু ১০.০৪ ইনস্টল করা [লাইভ সিডি অথবা ইউএসবি থেকে]

উবুন্টু ওয়েবসাইট থেকে উবুন্টু লাইভ সিডি ডাউনলোড করার অপশন দেয়া থাকে। ডাউলোডের পর এটি সিডিরম ড্রাইভে বার্ণ করে অথবা ইউএসবি ড্রাইভ বুটেবল হিসাবে তৈরী করে ব্যবহার করা যায়।   লাইভ সিডি হল এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ইনস্টল না করেও অপারেটিং সিস্টেমটি ব্যবহার করা যায়। কিন্তু নিয়মিত ব্যবহার করতে চাইলে কম্পিউটারে ইনস্টল করেই ব্যবহার করা উচিত। নিচের পদ্ধতি অনুযায়ী কম্পিউটারে উবুন্টু ইনস্টল করে উইন্ডোজের পাশাপাশি ব্যবহার করা যাবে।

ইনস্টল করার পূর্বে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিৎ

*  কম্পিটারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলা অন্য কোথাও কপি করে রাখা উচিৎ। এটা ৯৯.৯৯% নিশ্চিত যে কম্পিউটারে সংরক্ষিত তথ্যের কোন প্রকারের কোন ক্ষতি হবে না, তবে ১০০ ভাগ নিশ্চিত হতে আপনি এ কাজটি করতে পারেন।

* কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক কিভাবে পার্টিশন করবেন তা আগে থেকে ঠিক করে রাখা।

* নির্ধারিত পার্টিশন সহজে খুঁজে পেতে পার্টিশনটির আকার এবং ব্যবহৃত অংশ কোথাও লিখে রাখুন।

ইনস্টল শুরু করা

উবুন্টু ইনস্টল করার জন্য প্রথমে উবুন্টু সিডি অথবা লাইভ ইউএসবি ড্রাইভটি কম্পিউটারে সংযুক্ত করে রিস্টার্ট করতে হবে। এখানে একটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে যে ফার্স্ট বুট অবশ্যই সিডিরম ড্রাইভ/ ইউএসবি হতে হবে। ফার্স্ট বুট হার্ডডিস্ক হলে আবার উইন্ডোজই চালু হব।ফার্স্ট বুট হার্ডডিস্ক দেয়া থাকলে বায়স থেকে তা পরিবর্তন করে নিতে হবে। Esc, F1, F2, F12, Delete ইত্যাদি সুইচ চেপে বায়স সেটিং-এ প্রবেশ করতে হয়। কোন সুইচ চেপে বায়স এ যেতে হব তা সাধারনত কম্পিউটার অন হওয়ার সময় দেখায়। ইউএসবি ড্রাইভ থেকে বুট চালু করার জন্য প্রাথমিক বুট ডিভাইস হিসাবে ইউএসবি নির্বাচন করতে হবে । এই অংশটি না থাকলে প্রাথমিক ড্রাইভ হার্ডডিস্ক দিতে হবে এবং হার্ডডিস্ক সমূহের মধ্যে ইউএসবি এর ক্রম উপরে থাকতে হবে।

যদি ফার্স্ট বুট সিডি দেয়া থাকে তবে আপনি নিচের মত উইন্ডো দেখতে পাবেন, এখান থেকে ভাষা নির্বাচন করতে হয়। ইংরেজী ভাষার পাশাপাশি বাংলাতেও ব্যবহারের অপশন পাওয়া যাবে এখানে।

Try Ubuntu without any change to your computer (প্রথম অপশন) অপশনটি ব্যবহার করে ইনস্টলের পূর্বে লাইভ সিডিটির মাধ্যমে উবুন্টু ব্যবহার করা যাবে।  সেখান থেকে Install Ubuntu 10.04 LTS নামের আইকনটি চালু করুন। লাইভসিডি থেকে উবুন্টু ব্যবহার করার সময় কিছু কিছু কাজ করার সময় অতিরিক্ত কিছু সময় লাগতে পারে। যেহেতু প্রতিটি কাজ সিডিরম থেকে মেমরীর উপর ভিত্তি করে চালানো হয় তাই এই সমস্যা হতে পারে। উবুন্টু লাইভ সিডি চালানো হলে ডেক্সটপে ইনস্টল নামে একটি বাটন থেকে যেটি ব্যবহার করে ইনস্টল করতে হবে।

এরপর সিডি থেকে ইনস্টলের প্রয়োজনীয় কাজ হতে থাকবে যা প্রগ্রেস বারের মাধ্যমে দেখানো হবে। এরপর আপনাকে কতগুলা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। যেমন কোন ভাষায় উবুন্টু ইনস্টল করতে চান, আপনার অবস্থান কোথায়, কী-বোর্ড লেয়াউট কেমন হবে ইত্যাদি। এটি আপনার প্রথম উবুন্টু ইনস্টল হলে আপনার উচিৎ ইনস্টলের ভাষা বাংলা নির্বাচন করা এর ফলে পরবর্তী ধাপগুলি আপনার বুঝতে সুবিধা হবে। তবে বাংলাতে ইনস্টল করা হলেও ইংরেজীতে ব্যবহারের অপশন সয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে।
ভাষা বাংলা নির্বাচন করা হলে সয়ংক্রিয়ভাবে ঘড়ি বাংলাদেশ সময়ের সাথে সমন্বয় করা হবে। এবং আপনার অবস্থান বাংলাদেশ হিসাবে চিহ্নিত করা হবে। এর পরবর্তী ধাপ “কীবোর্ড লেআউট নির্বাচন করা” । এখানে সয়ংক্রিয়ভাবে বাংলাদেশের জাতীয় কীবোর্ড লেআউট নির্বাচন করা থাকবে । তবে এটি পরিবর্তন করে USA লেআউট নির্বাচন করতে হবে । কারণ বাংলাদেশের সকল কীবোর্ড USA লেআউট অনুযায়ী তৈরী করা হয়। কীবোর্ড লেআউট নির্বাচনের পরের ধাপটি হল হার্ডিস্ক পার্টিশন করা ।

উপরের বিষয়গুলা ঠিকমত শেষ হলে হার্ডডিস্ক পার্টিশন করার জন্য ৩টা অপশন দেখাবে।

১ম অপশন (প্রতিবার স্টার্টআপের সময় বেছে নেয়ার মত পাশাপাশি ইনস্টল করুন)

যারা একই সাথে উইন্ডোজ ও উবুন্টু ডুয়েলবুট হিসাবে ব্যাবহার করতে চায় এবং ইনস্টল পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা নেই তারা এই অপশন ব্যাবহার করে উবুন্টু ইনস্টল করতে পারেন। এখানে যে ড্রাইভে “উইন্ডোজ” ইনস্টল করা আছে সেই ড্রাইভের খালি অংশে উবুন্টুর জন্য আলাদা একটি পার্টিশন তৈরী করে ইনস্টল হয়। তবে C: ড্রাইভে জায়গা কম থাকলে D:, E: এর মত পরবর্তী ড্রাইভগুলিতে ইনস্টল করার পরামর্শ দেয়া হয়। তবে খালি জায়গাটুকু উবুন্ট ও উইন্ডোজ কী অনুপাতে ব্যবহার করবে তা ঠিক করে দেয়া যায়। ঐ ড্রাইভে যদি অত্যন্ত কম জায়গা থাকে তবে এর পরের ড্রাইভ পার্টিশনের জন্য বেছে নেয়া হয়।

২য় অপশন (পুরো হার্ডডিস্ক মুছে ব্যবহার করুন)

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম মুছে যাবে এবং উবুন্টু ইনস্টল করার জন্য সম্পূর্ণ হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা হবে। সম্পর্ণ খালি কোন হার্ডিস্কে ইনস্টলের সময়ই কেবলমাত্র এই অপশনটি ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যথায় কম্পিউটারে সংরক্ষিত সকল তথ্য মুছে যেতে পারে।

৩য় অপশন (নিজহাতে পার্টিশনগুলি নির্ধারণ করুন (দক্ষতর))

ম্যানুয়ালী কোন ড্রাইভে ইনস্টল করা যাবে এই পদ্ধতিতে। তবে এভাবে ইনস্টল করতে চাইলে ইনস্টল প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছু ধারনা থাকতে হবে। যেমন লিনাক্সে ইনস্টলের ড্রাইভ ছাড়াও swap নামে আলাদা একটি ড্রাইভ তৈরী করতে হয়। এটি হার্ডডিস্কের একটি অংশ হলেও প্রযোজন অনুযায়ী এটি   ভার্চুয়াল মেমরীর মত কাজ করে থাকে। এই অপশনটি ব্যবহার করে ইনস্টল করা হলে নিশ্চিত হতে হবে আপনি কোন ড্রাইভে ইনস্টল করতে চান। প্রয়োজনে আগে থেকেই সেই ড্রাইভটি খুলি করে রাখতে পারেন।

এখন ৩য় অপশনটি ব্যবহার করে ইনস্টল পদ্ধতি দেখানো হবে

৩নম্বর অপশনটি সিলেক্ট করে Forward কী চাপলে হার্ডডিস্ক এর সবগুলা পার্টিশন এর নাম দেখাবে। তবে এখানে উইন্ডোজের মত Partition 1, Partition 2. . . ইত্যাদি দেখাবে না, লেখা থাকবে /dev/sda1, /dev/sda5, /dav/sda6. . ., অথবা /dev/hda1, /dev/hda5, /dav/hda6. . . ইত্যাদি , এখানে /dev/hda1 হল C ড্রাইভ,/dev/hda5 হল D ড্রাইভ,/dev/hda6 হল E ড্রইভ। মূলত /dev/sda5 হবে D ড্রাইভ এবং এরপর থেকে /dev/sda6,/dev/sda7,/dev/sda8 হবে যথাক্রমে E,F,G ড্রাইভ। নিশ্চিত হতে ড্রাইভের আকার এবং ব্যবহৃত অংশের পরিমান দেখা যেতে পারে। এভাবে আপনার কাঙ্খিত ড্রাইভটা সিলেক্ট করে পার্টিশনটা Delete করুন। তখন জায়গাটুকু Free Space হিসাবে দেখাবে।

আপনি যদি উইন্ডোজ ব্যবহারকারী হন তবে সবচাইতে ভালো হয় যদি আপনি উইন্ডোজ থেকে নির্দিষ্ট ড্রাইভটি আগে থেকেই ফরম্যাট করে দুটি আলাদা ড্রাইভ হিসাবে তৈরী করে রাখেন। দুটি ড্রাইভের একটি নূন্যমত ৫ গিগাবইট জায়গা দিন এবং অপরটি ১গিগাবাইট জায়গা দিয়ে তৈরী করতে পারেন।  যদিও উবুন্টু ইনস্টলের সময় এই কাজটি করা যাবে তবে প্রথমবার ইনস্টল করার সময় অথবা নিশ্চিত ভাবে ইনস্টল করতে এই কাজটি করতে পারেন।

উইন্ডোজ থেকে ড্রাইভ তৈরী করা না থাকলে উবুন্টু ইনস্টলের সময় এই কাজটি করার পদ্ধতিটি দেখানো হচ্ছে।

এবার কম্পিউটারের RAM এর দ্বিগুন সাইজের(RAM 256 হলে 512) Swap নামে একটা ড্রাইভ বানাতে হবে। তবে RAM ১গিগাবাইট বা এর বেশী হলে এজন্য swap এর জন্য ১গিগাবাইট বা এর কম জায়গা ব্যবহার করতে পারেন। Free Space সিলেক্ট করে Add ক্লিক করুন। “নতুন পার্টিশনের আয়তন” এ RAM এর দ্বিগুন পরিমান লিখুন, “যেভাবে ব্যবহার করা হবে” এর পাশের ড্রপ ডাউন লিস্ট হতে swap area(সোয়াপ স্থান) সিলেক্ট করে OK করুন।

অবশিষ্ট Free space আবার সিলেক্ট করে আবার Add ক্লিক করুন। “নতুন পার্টিশনের আয়তন” এ নূন্যতম 5000 লিখুন, “যেভাবে ব্যবহার করা হবে“ এর পাশের ড্রপ ডাউন লিস্ট হতে ext3, “মাউন্ট পয়েন্ট” এর পাশের ড্রপ ডাউন লিস্ট হতে / সিলেক্ট করে Ok করুন। সেই সাথে পার্টিশন ফরম্যাট করো এর পাশের বক্সে টিক চিহ্ন দিন।
পার্টিশন শেষ হওয়ার পর তালিকাটি নিচের মত দেখা যাবে।
হার্ডডিস্ক পার্টিশন করার পর আপনার নাম, ব্যাবহারকারীর নাম(যে নামে লতইন করতে চান) ও পাসওয়ার্ড(Password) লিখতে হবে। পাসওয়ার্ড ৮ অক্ষরের কম হলে বা খুবই সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হলে একটি সতর্কতা বার্তা দেখাতে পারে।
উইন্ডোজ এর কোন ব্যাবহারকারীর নিজেস্ব সেটিং বা উইন্ডোজের  My Documents ফোল্ডারে সবকিছু উবুন্টুতে ইম্পোর্ট করতে চান কিনা তা জানতে চাওয়া হবে। উবুন্টু থেকে উইন্ডোজের সকল ফাইল ব্যবহার ও সম্পাদনা করা যায়, তাই কোন ফাইল ইম্পোর্ট করার কোন প্রয়োজন নেই।
এর পরবর্তী ধাপে আপনাকে জানানো হবে আপনি ভাষা, কী-বোর্ড লেয়াউট, লগইন নাম, অবস্থান ইত্যাদি বিষয়ে কী কী নির্বাচন করেছেন। এই উইন্ডোর “ইনস্টল” বাটনে ক্লিক করলে ইনস্টল শুরু হবে।  ইনস্টলের বিভিন্ন পর্যায়ে উবুন্ট কি , এটি ব্যবহারের সুবিধা এবং বিভিন্ন সফটওয়্যারের বৈশিষ্টগুলি দেখানো হয়। ইনস্টল শেষ হলে নতুন একটি উইন্ডো দেখা যাবে । সেখানে জানানো হবে ইনস্টল সম্পন্ন এবং লাইভ সিডি পরীক্ষা চালিয়ে যেতে চান কিনা তা জানতে চাওয়া হবে। সেখান Restart Now বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর থেকে প্রতি বার কম্পিউটার চালু করার সময় উবুন্টু এবং উইন্ডোজ নির্বাচন করার অপশন থাকবে।